• Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
  • Govt. Shamsur Rahman College - Slide
মেনু নির্বাচন করুন

সরকারি শামসুর রহমান কলেজ সম্পর্কে


পদ্মা, মেঘনা আর কীর্তিনাশার নরম পলিতে গড়ে ওঠা, হাজী শরীয়তুল্লার পূণ্য নামে ধন্য, সবুজ শ্যামলে ঘেরা এক নান্দনিক জনপদের নাম শরীয়তপুর। শরীয়তপুর জেলার সর্ব দক্ষিণের প্রান্তিক উপজেলা গোসাইরহাট। দূরন্ত মেঘনার কোল ঘেষে গড়ে ওঠা গোসাইরহাট এক প্রাচীন জনপদ। মোগল আমলের প্রাদেশিক নগর ইদিলপুর পরগনার মূল কেন্দ্রভূমি এই গোসাইরহাট। প্রাচীন ঐতিহ্যের অভিজাত স্মারক বহন করা এই জনপদ একদা ঐশ্বর্যে, আভিজাত্যে, প্রতাপে, প্রাচুর্যে দীপ্যমান থাকলেও কালের করালগ্রাসে একদিন তা ম্লান হয়ে পড়েছিলো। ঔপনিবেশিক শাসন—শোষণের যাতাকলে প্রাচীন পূর্ব বঙ্গের অবহেলিত অংশ হিসেবে এই অঞ্চলটি ছিলো আরো বেশী অবহেলিত। তদুপরি একদা বিস্তৃত নৌ-যোগাযোগের কালক্রমে সীমিত হয়ে পড়া ব্যবস্থা, সড়ক যোগাযোগের নাজুক পরিস্থিতির কারনে গোসাইরহাট তথা ইদিলপুর—হাটুরিয়া ক্রমান্বয়ে হারায় তার যশ, খ্যাতি, সৌকর্য আর সম্মান।

তবুও কিছু আলোকিত মানুষ দেশ—কাল ভেদে সর্বদাই আলোর মশাল জ্বালানোর এক অনন্য প্রচেষ্টায় শামিল থাকে। শিক্ষায়, সম্ভাবনায় পিছিয়ে পড়া এই জনপদের এমনিতর কিছু আলোকসন্ধানী মহানুভব মানুষের হৃদয় হঠাৎ আলোর ঝলক লেগে ঝলমল করে জেগে উঠলো।  গোসাইরহাট উপজেলার কতিপয় সমাজ হিতৈষী, শিক্ষানুরাগী, শিল্পীত সজ্জ্বন মানুষ মিলে এখানে গড়ে তুললেন তাদের হারানো ঐতিহ্যের স্মারকস্তম্ভ "ইদিলপুর মহাবিদ্যালয়"। গোসাইরহাটের সেই সময়কার সেইসব সাহসী স্বপ্নবাজ সন্তানেরা তাদের অতলান্তিক আন্তরিকতা আর সীমিত সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলতে চেষ্টা করলেন তাদের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানকে। কেউ দিলেন অর্থ, কেউ দিলেন শ্রম, কেউ দিলেন পরামর্শ,  রাজনৈতিক সমর্থন আর সকলে মিলে শরীক হলেন এক আলোর মিছিলে।
ইদিলপুর কলেজের যাত্রা শুরু হলো ১৯৮৪ সালের ০১ জানুয়ারি।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক সহযোগিতায় কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এর আর্থিক দীণতার কারণে কলেজটির একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছিল। এমতবস্থায় ২৭/০৯/১৯৯৩ সালে কলেজের গভনিংর্ বডির এক সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে একজন দাতার নামে কলেজের নাম করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দাতা হিসেবে ঐতিহ্যবাহী হাটুরিয়া মিয়াবাড়ির কৃতি সন্তান, দানবীর, বিদ্যোৎসাহী, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক জনাব আলহাজ¦ শামসুর রহমান সরকারি বিধি মোতাবেক এককালীন—১৫,০০,০০০/—(পনের লাখ) টাকা চেকের মাধ্যমে তৎকালীন অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট হস্তান্তর করেন।
পরবতীর্তে গ্রণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারকনং শা ৯০ এ—২/৯০/৫৩৮/১(৭) শিক্ষা ২৮/০৬/১৯৯৪ ইং এ কলেজ পরিচালনার আর্থিক দায়িত্বভার আলহাজ¦ শামসুর রহমান গ্রহণ করে শামসুর রহমান কলেজ নামকরণ করেন। কলেজ পরিচালনার আর্থিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে আলহাজ¦ শামসুর রহমান সাহেব কলেজের লেখাপড়া ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন।
তিনি নিজ অর্থায়নে ২,৮৫,০০,০০০/— (দুই কোটি পঁচাশি লাখ) টাকা ব্যয় করে একটি পাঁচতলা বিশিষ্ট খলিলুর রহমান অনার্স ভবন নিমার্ণ করেন। তাঁর হাত ধরে এই কলেজে ০৮ টি বিষয়ে অনার্স ও ০৪ টি বিষয়ে প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স এবং মাস্টার্স শেষ পর্ব চালু হয়। স্নাতক (পাস) বি.এ, বি.এস.এস, বি.বি.এস এবং বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ কারিগরি  শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ব্যবসায় ম্যানেজমেন্ট শাখা চালু রয়েছে। ফলে এলাকার সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা নিজ বাসায় থেকে স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা লাভের  সুযোগ পাচ্ছে।
বর্তমানে সরকারি শামসুর রহমান কলেজটি একটি সমৃদ্ধশালী কলেজে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি ছয়তলা বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম ক্লাস রুম।
এছাড়াও রয়েছে তিন তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন, পাঁচতলা বিশিষ্ট খলিলুর রহমান অনার্স ভবন, চারতলা বিশিষ্ট আইসিটি ভবন, কলেজ ক্যান্টিন, ছাত্রাবাস, শিক্ষক ডরমেটরি, নয়নাভিরাম মসজিদ এবং শহীদ মিনার।
শিক্ষানুরাগী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৩০/০৬/২০১৬ সালে জাতীয়করণের লক্ষ্য ২৮৩ টি কলেজ নির্ধারণ করেন। তারমধ্যে শামসুর রহমান কলেজটি তালিকভূক্ত হয়। সে মোতাবেক ০৮/০৮/২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয় করণে গেজেটভুক্ত হয়।
জাতীয় করণের পর সরকারি আদলে কলেজ পরিচালনার লক্ষ্যে প্রথম বারের মত শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিসিএস ক্যাডারভুক্ত অধ্যক্ষ পদায়ন করেন। প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে ২২/১০/২০১৯ ইং তারিখে জনাব মোঃ ফজলুল হক যোগদান করেন।
যোগদানের পরবর্তীতে কলেজের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়। ইতোমধ্যে কলেজে নতুন তিনটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র প্রদান করেছেন। কলেজে ডিগ্রী পাস কোর্সের কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। কলেজের বাহ্যিক পরিবেশ নান্দনিক করার প্রয়াসে নয়নাভিরাম ফুলের বাগান, দৃষ্টি নন্দন পতাকা মঞ্চ, মুজিববর্ষের কর্মসূচি হিসেবে প্রায় চারশত বৃক্ষরোপণ করে কলেজের বাহ্যিক অবয়বে শিল্পীত পরিবর্তন আণয়ন করা হয়েছে।
ইতোমেধ্য কলেজে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবন ও দর্শনকে সহজ এবং উন্মুক্তভাবে ছাত্র—ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কলেজে স্থাপন করা হয়েছে “বঙ্গবন্ধু কর্ণার”।
মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের রোডম্যাপ শামিল হওয়ার নিমিত্তে গ্রহণ করা হয়েছে নানাবিধ শিক্ষা কর্মসূচি। করোনাকালিন মহা দূযোর্গ মোকাবেলা করে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের নিদের্শনা মতে ছাত্র—ছাত্রীদের কল্যাণে অনলাইন ক্লাস, এসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন সহ নানা ধরণের কর্মসূচি চালু আছে।Youtube Channel Govt. Shamsur Rahman College Online Classes নামে একটি Channel খোলা হয়েছে। যেখানে নিয়মিত অনলাইন ক্লাশের ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে।

সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 

af